PK

Showing posts with label SCIENCE. Show all posts
Showing posts with label SCIENCE. Show all posts

Octopus


 এই বিশ্বজুড়ে কত কিছুই না রয়েছে। যা আমাদের অজানা। যেমন এই অক্টোপাস। প্রশান্ত মহাসাগরের বিশালাকৃতির অক্টোপাসের গল্পটা একটু অন্যরকম। এই অক্টোপাস পৃথিবীর সেরা মা? শুনে অবাক লাগছে। শুনুন তাহলে গল্পটা। বড়ই দুঃখের এই মায়ের কাহিনি। জীববিজ্ঞানী জিম কসগ্রোভের প্রথম এই গল্পটি বলেন। জিম যখন

Mpemba Effect

ফ্রিজে যদি একইসাথে গরম জল

এবং আর ঠাণ্ডা জল রাখি তবে

কোনটি আগে বরফে পরিণত হবে?


কমন সেন্স থেকে আমাদের উত্তর হচ্ছে ঠাণ্ডা জলটাই আগে বরফে পরিণত হবে। অন্তত বেসিক থার্মোডাইনামিক্স সেটাই বলে। কিন্ত না। একইসাথে গরম জল আর আর ঠাণ্ডা জলকে শীতল করা হয় তবে গরম জলটাই আগে বরফে পরিণত হবে। আজ্ঞে হ্যা

Mobile

 মোবাইল ফোন 


আধুনিক কালের প্রযুক্তিতে যেসব আবিষ্কার মানুষের জীবনকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে তার মধ্যে মোবাইল ফোন বা সেল ফোন সেই সব আবিষ্কারের তালিকায় অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত।

প্রথম মোবাইল ফোন তৈরি হয়েছিল ১৯৭৩ সালে, আমেরিকার নিউইয়র্কে। তৈরি করেছিলেন মার্টিন কুপার। তাকে মোবাইল ফোনের জনক বলা হয়। মার্টিন কুপার কাজ করতেন এক ছোট টেলিকম কোম্পানি মোটরোলায়। তার স্বপ্ন ছিল : এমন

পোকা আবিষ্কার

 পোকা আবিষ্কার


কাহিনীর শুরু ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৭।

কুয়েতের আল-আহমেদি তেল শোধনাগার থেকে এক বিশাল তেলবাহী জাহাজ অশোধিত তেল নিয়ে রওনা হলো ওয়েলস অভিমুখে। সেই আমলে ওটাই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো সুপার-ট্যাঙ্কার, টোরি ক্যানিয়ন। তার গর্ভে সেদিন প্রায় এক লক্ষ আঠারো হাজার লিটার তেল।


ঠিক একমাস পর ১৮ মার্চ, সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ পর্যটকদের প্রিয় কর্নিশ উপকূল ধরে এগোনোর সময় ঘটলো এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা। আটলান্টিক সমুদ্রের তলায় থাকা ডুবোপাহাড়ের সাথে ধাক্কা লেগে ফেঁসে গেল টোরি ক্যানিয়নের তলদেশ। আঠেরোটি ট্যাঙ্কের মধ্যে চোদ্দোটি ট্যাঙ্ক ফুটো হয়ে

Life 2

 প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার উৎপত্তি

[ রাসায়নিক পর্যালোচনা ]


প্রাণের উৎপত্তির মূল উপাদান হিশেবে যা' আছে সেটা খুবই নিষ্প্রাণ কিছু রাসায়নিক পদার্থ।

জীবনের ভিত্তি তৈরি হয় মাত্র চারটি সাধারণ মৌলিক পদার্থ ব'লেঃ কার্বন (C), হাইড্রোজেন (H), অক্সিজেন (O) এবং নাইট্রোজেন (N); সংক্ষেপে ব'লে CHON ( খন )। সালফার (S) এবং ফসফরাস (P) আনলে মূল উপাদান দাঁড়ায় ছয়টি তে – CHON(SP)। [ 1 ]


প্রকৃতিতে খন প্রচুর

Life

 প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার উৎপত্তি


জড়জগতে বিবর্তনের মহাবিশ্বের উৎপত্তি এবং তার বিকাশ। প্রায় সাড়ে চার'শো কোটি বছর আগে পৃথিবীর জন্ম হ'য়েছিলো। মহাবিস্ফোরণ (বিগ-ব্যাং) থেকে শুরু ক'রে প্রথম পর্যায়ের অণুর উৎপত্তি, সময়ের নির্বাহে একসময় শক্তির প্রাধান্য তারপর পদার্থের প্রাধান্য, তারপর তারামণ্ডল, কোয়েসার, ছায়াপথ, সূর্য, নক্ষত্র, সৌরজগৎ, গ্যালাক্সি সবকিছুর পর পৃথিবীর জন্ম। 


সাড়ে চার'শো কোটি বছর আগে পৃথিবী আজকের

Science

 প্রাচীন গ্রীক এবং রোমান সাম্রাজ্যে প্রচুর বিজ্ঞানীর দেখা পাওয়া যায় । কিন্তু তারপর হঠাৎ করে সবাই হারিয়ে গেলেন !!!


প্রাচীন গ্রীক বিজ্ঞানীদের কথা ধরুন। ডেমোক্রিটাস (খ্রিষ্ট পূর্ব ৪৬০-৩৭০) প্রথম পরমানূর আইডিয়া দিয়েছিলেন। থিওফ্রাস্টাস (খৃষ্ট পূর্ব ৩৭১-২৮৭) ছিলেন উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক । হিপোক্রেটাস (খৃষ্ট পূর্ব ৪৬০-৩৭০) চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক । পিথাগোরাস (খ্রি পূ ৫৭০-৪৯৫),আর্কিমিডিস (খৃ পূ ২৮৭-২১২), টলেমি (১০০-১৭০) দের জ্যামিতি আমরা এখনো আকাই। হিপ্পারকাস, এরিস্টেটল, প্লিনি (২৩-৭৯) --ইত্যাদির কথা বলা যায় এই সময়ে ।


এই একঝাক বিজ্ঞানীদের দীর্ঘকাল পরে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির ( ১৪৫২-১৫১৯) আগে আর কোনো

Snake

 পশ্চিমবঙ্গের মাত্র চারটি সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয়।

১) গোখরো ( Spectacled cobra )

২) কেউটে (Monocled cobra )

৩) চন্দ্রবোড়া (Russell's viper )

৪) কালাচ (Common krait )

এছাড়া আছে মারাত্মক বিষধর শাঁখামুটি , কিন্তু তা নিয়ে আমাদের চিন্তার কিছু নেই। কারণ শাঁখামুটি এতোই শান্ত যে, ওর কামড়ে মৃত্যুর কোনো ইতিহাস নেই । আমাদের এলাকার বাকি আর কোনও সাপ থেকে মৃত্যুভয় নেই।

কামড় এড়াতে –

*বাড়ির চারপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।

* রাতে অবশ্যই বিছানা ঝেড়ে মশারি টাঙ্গিয়ে শোবেন। (মেঝেতে ঘুমালে মশারি বাধ্যতামূলক)

* অন্ধকারে হাঁটাচলা করবেন না, একান্তই বাধ্য হলে হাতে লাঠি নিয়ে রাস্তা ঠুকে চলুন, হাততালি দিয়ে লাভ নেই, কারণ সাপের কান নেই।

হোমিওপ্যাথির চালাকি

 হোমিওপ্যাথির চালাকি




১৭ শতকের শেষ দিকের “চিকিৎসাবিজ্ঞান” বলতে যা প্রচলিত ছিল সেটাকে “চিকিৎসা” বা “বিজ্ঞান” কোনোটাই বলা যায় না। তখনকার সেরা চিকিৎসা ছিল রক্ত কমানো (blood letting), purging, আর জোঁক দিয়ে রক্ত চোষানো (leeching)। ধারণা করা হতো মানুষের শরীরে চার ধরণের মৌলিক humour আছেঃ blood, phlegm, black bile, আর yellow bile। এদের সাম্যাবস্থা নষ্ট হওয়ার কারণে মানুষ অসুস্থ হয় বলে মনে করা হতো।


স্যামুয়েল হানেম্যান নামের এক জার্মান ডাক্তার বুঝতে পারলেন এই চিকিৎসা কখনোই “চিকিৎসা” হতে পারে না, কারণ এটি সমস্যা সমাধানের চেয়ে বেশী সমস্যা সৃষ্টি করে। ১৮০৭ সালে তিনি একটি তত্ত্ব নিয়ে হাজির হন, যার নাম হোমিওপ্যাথি। 




হোমিওপ্যাথির উদ্ভাবনের জন্য কয়েকটা বিষয় তাঁর মাথায় রাখতে হয়েছিল।

GOLDEN RATIO

 রহস্যময়তা কিংবা প্রায়োগিক দিক অথবা প্রকৃতির মাঝে খুঁজতে চাইলে সবচেয়ে বেশি এবং প্রকটভাবে ধরা পরবে গোল্ডেন রেশিও; এবং বার বার আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে স্মরণ করিয়ে দিবে তার শ্রেষ্ঠত্ব। একারনেই সর্বাধিক গবেষণা হয়েছে এই সংখ্যাটিকে নিয়ে।


যাকে নিয়ে এতো গবেষণা সেই Golden Ratio টা আসলে কী? এটা আসলে আর কিছুই নয়, একটা গাণিতিক অনুপাত মাত্র যার মান 1.618033988……। হ্যা ব্যাপারটা নির্মম হলেও সত্য যে এই Golden Ratio অন্য

ফিবোনাক্কি ধারার রহস্য পর্ব-২

গত পর্বে বলেছিলাম মৌমাছি আর খরগোসের জীবনে ফিবোনাক্কি ধারার কথা।আজ দেখি  আরোও মজার কিছু-


একটি গাছ কিভাবে বৃদ্ধি পায় তা খেয়াল করলে দেখব গাছ গুলোর ডাল পালা গজানোর একটা নিয়ম আছে, প্রতিটা শাখা তার আগের শাখার একটু উপরে থাকে এবং ঠিক একই জায়গায় কখনো দুইটা শাখা এক সাথে থাকে না, ঠিক নিচের ছবির মত-



ফিবোনাক্কি ধারার রহস্য পর্ব-১

 0  1  1  2  3  5  8  13  21  34  55  89  144  233 …………



উপরের ডিজিট গুলোর মাঝে একটা মজার ব্যাপার আছে, বলুন দেখি ব্যাপার টা কি? হ্যা, ধরে ফেলেছেন। এই ধারার প্রত্যেকটি ডিজিট তার আগের দুইটি ডিজিটের যোগফল। আর এই ধারাটাকেই বলা হয় ফিবোনাক্কি ধারা এবং আমি সহ অনেকের ধারনা ব্যাপক রহস্যময় ধারা।ইতালিয়ান গণিতবিদ লিউনার্দো ফিবোনাক্কি এই ধারাটি প্রকাশ করেন।

আনলাকি 13 ও মৌলিক সংখ্যার মধুর সম্পর্ক

 আনলাকি 13 ও মৌলিক সংখ্যার মধুর সম্পর্ক


গণিতের রাজ্যে মৌলিক সংখ্যা বা Prime Number একটি মজার বিষয়। নানান রহস্য লুকিয়ে আছে Prime Number এর মাঝে। আমরা সকলেই জানি যে, Prime Number হচ্ছে সেই সমস্ত সংখ্য যাদেরকে শুধুমাত্র সেই সংখ্যা ও ১ দিয়ে ভাগ করা যায়।


১।

১৩ একটি Prime Number, যার অবস্থান ৬ষ্ঠ।

রামানুজন সংখ্যা ১৭২৯

 রামানুজন সংখ্যা ১৭২৯


রামানুজন যার পুরো নাম শ্রীনিবাস রামানুজন আয়েংগার Srinivasa Ramanujan Aiyangar সর্বকালের শ্রেষ্ঠ একজন গণিতবিদ।  তিনি যখন যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে তখন তার সাথে দেখা করতে আসেন গণিতের আরেক মহারথী জি. এইচ. হার্ডি। কথা প্রসঙ্গে তিনি বললেন- আমি যে টেক্সিতে

Unique number

Unique number বা অদ্বিতীয় সংখ্যা কি জিনিস তার সংঙ্গা লিখতে গেলে খুব একটা শ্রুতিমধুর হবে না। তবুও এভাবে লেখা যেতে পারে- শুধুমাত্র ক্রমিক অংক বিশিষ্ট কোনো একটি সংখ্যা এবং তার রিভার্স সংখ্যার ব্যবধানই হচ্ছে Unique number। একটি উদাহরণ দিলেই বুঝা যাবে বিষয়টি।
উদহরন :
দুইটি ক্রমিক অংক বিশিষ্ট একটি সংখ্যা ৪৫। এবার ৪৫-কে উলটে লিখলে পাওয়া যাবে ৫৪। এখন (৫৪-৪৫) = ৯।
দুইটি ক্রমিক অংক বিশিষ্ট যে কোনো সংখ্যার জন্যই ৯

Trimorphic number

Trimorphic number

যে সমস্ত সংখ্যার কিউবের শেষে সেই সংখ্যাটি থাকে তাদেরকে ট্রিমরফিক সংখ্যা (Trimorphic number) বলে।

যেকোনো একটি সংখ্যা নিন, তাকে কিউব করুন, যোমন : ৪^৩ = ৬৪।
যে সংখ্যাটিকে কিউব কররা হলো সেই সংখ্যাটিই দেখি উত্তরের সর্বশেষ অংক!!

সব সংখ্যার ক্ষেত্রেই কিন্তু এমনটা হয় না। যেমন ৭ দিয়ে করলে; ৭^৩ = ৩৪৩।
শেষে কিন্তু ৭ আসলো না।

তাঁদের ছোট ছোট গল্প

রামানুজনের ১৭২৯

হার্ডির সাথে কাজ করার সময় রামানুজন একবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান হার্ডি। কিন্তু ঢেকি তো স্বর্গে গেলেও ধান ভানে, আর হার্ডি তো গেছে কেবল হাসপাতালে। কী জিজ্ঞেস করবেন ব্যাটা তোর শরীর কেমন, কী খাবি এইসব- তার বালাই নেই, গিয়েই বলে বসলেন, “আজকে আমি যে

লেবেগ ইনটেগ্রেশন, রিমান ইনটেগ্রেশন, হেনরি লেবেগের উপমা

লেবেগ ইনটেগ্রেশন, রিমান ইনটেগ্রেশন, হেনরি লেবেগের উপমা


আমরা সবাই যারা সায়েন্স অথবা ইঞ্জিনীয়ারিং এ পড়ি ,তাদেরকে গণিত শিখতেই হয়, তারা সবাই ইনটেগ্রেশনের (সমাকলন) সাথে পরিচিত । ইনটেগ্রেশনের বাংলা করলে অর্থ দাঁড়াবে একত্র করা বা একীভূত করা (অনেক জিনিস কে একসাথে করা ) । ম্যাথমেটিক্সের ক্ষেত্রেও অনেকটা একই রকম অর্থে ইনটেগ্রেশনের কথা

কিভাবে নিউক্লিয়ার পাওয়ার ষ্টেশন গুলো কাজ করে ?

কিভাবে নিউক্লিয়ার পাওয়ার ষ্টেশন গুলো কাজ করে ?

১.প্রাথমিক ধারনা:

চলুন প্রথমে জেনে নেই নিউক্লিয়ার রিয়াকশন সম্পর্ক। ফিউশন ও ফিশন নামে দুই ধরনের রিয়াকশনের যে কোন একটি নিউক্লয়ার পাওয়ার ষ্টেশন ব্যাবহার হতে পারে। ফিউশন রিয়াকশনটা হলো tritium (T or 3H )এটোমকে deuterium (2H or D) এর সাথে স্মেশ করে হিলিয়াম এবং নিউট্রন উৎপাদন করা হয়। গবেষকরা চেষ্টা চালাচ্ছে এটাকে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টে কাজে লাগানোর জন্য।


ছবি-১: ফিউশন রিয়াকশন।

ডেকার্তে’র মাছি

ডেকার্তে’র মাছি

জনশ্রুতি আছে, তীব্র এক গরমের দিনে, বিছানায় শুয়ে ছাদের দিকে তাকিয়ে ছিলেন অসুস্থ ডেকার্তে—ক্লান্ত এক মাছি ছাদে ইতঃস্তত ঘোরাঘুরি করছে।

খুব মজা পেলেন ডেকার্টে, মনে মনে ভাবলেন, “বেচারা মাছিটি জানেও না, সে তার চলার পথে বিভিন্ন জ্যামিতিক আকার ফুটিয়ে তুলছে।”